শিক্ষা মানৃষের জন্য। শিক্ষা ছাড়াও মানুষ বাঁচে। শিক্ষা তিন প্রকার
১ – পারিবারিক শিক্ষা
২ – প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা
৩ – ধর্মীয় শিক্ষা
তবে সব থেকে বড় শিক্ষা হল পারিবারিক শিক্ষা । আমাদের দেশের মধ্য এই শিক্ষার অভাবেই আজ দেশ জাতি খারাপ। যেমন ধরেন আমার বোনকে কোন ছেলে ইভটিজিং করল সেটা আমি প্রতিষ্ঠানে বিচার দিবনা দিব তার পরিবারে। আমি যদি সেই ছেলেটাকে অন্যায়ের জন্য শাসন করি বা আঘাত করি তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্টান আমার উপর প্রতিশোধ গ্রহন করবেনা বরং আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে সম্মান জানাবে। কিন্তু ছেলেটার পরিবার আমাকে শাস্তি দিবে পারলে আমার বোনেরও ক্ষতি করবে শুধুমাত্র ছেলেকে শাসন করার জন্য। কিন্তু একবারও ভেবে দেখবেনা নিজের সন্তান কি অপরাধী কিনা।
বাস্তবতা আপনি আমি সবাই দেখছি জোর যার মুল্লৃক তার।
আমি আবারও বলি আজকের প্রজন্ম দিন দিন খারাপ হওয়ার পিছনে শুধু মাত্র পরিবার দায়ী। আজকের প্রজন্ম বাবা মায়ের যত্নে গড়া আদরেরর দুলাল নাকি অবহেলায় গড়া ফসকে যাওয়া দুরন্ত ঘোড়া।
লিখলে সারাদিন লেখা যাবে। বুঝে শুনে দুলাইন লিখলেও সার্থক হবে
আপনার সন্তানকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না দিলেও সে সন্মান নিয়ে বাঁচতে পারবে।কিন্তু পারিবারিক ও ধর্মীয় শিক্ষা ব্যতীত বাঁচতে পারবেনা।
মানুষ সামাজিক জীব৷সমাজ বদ্ধ হয়ে বাস করাই মানুষের স্বভাব৷প্রাকৃতিক নিয়মে কোন সমাজ গড়ে উঠেনা মানুষই সমাজকে গড়ে তোলে৷ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মানব সমাজের অনেকবার উথ্হান পত্তন হয়েছে৷কখনো অত্যাচারী জমিদারের শোষন থেকে বাচতে মানুষ নতুন সমাজ গড়তে একত্রিত হয়েছে আবার কখনো সামাজিক অপরাধ দমন করতে একত্র হয়েছে৷সমাজ কিন্তু মানুষকে কিছুই দেয়নি বরং মানুষই সমাজ থেকে সকল অন্যায় অত্যাচার অপরাধ সবকিছু দমন করে সমাজে মানুষ বসবাসের উপযোগী করে গড়ে রাখার চেষ্টা করেছে৷আমরা আদো সেই সমাজেই বাস করি৷বর্তমানে তিন চতর্থাংশ মানুষ বলে সমাজটা কি হল?তাদের নিকট আমার প্রশ্ন কি হয়েছে আপনার?কোন সমাজ মানুষকে নিয়ে এসেছে বাস করার জন্য না মানুষ সমাজে বাস করতে চায়?আজ আমাদের সমাজে মাদক দ্রব্য থেকে শুরু করে খুন খারাপির মত জঘন্য কার্যকলার চলছে৷সন্ত্রাস চাদাবাজ চোর ডাকাত অপহরন ছিনতাই ধর্ষণ সব চলছে আমাদের সমাজে৷আর মানুষগুলো সমাজের দোষ দিয়ে সেগুলো জেনেশুনে চুপচাপ বসে আছে৷মানুষ কেন এমন করছে?প্রতিটা মানুষের কি আলাদা আলাদা সমাজ হবেনাকি?সমাজের প্রয়োজনে মানুষ নয় বরং মানুষের প্রয়োজনে সমাজকে গড়েছে মানুষ বারবার৷
আজ আমরা লেখা পড়া করি শিক্ষিত হই সম্পদ অর্জন করি সন্তান মানুষ করি শুধু ভালভাবে জীবন যাপন করার জন্য৷কিন্ত বাস করতে হয় খুবই আতংকের মাঝে৷কিন্ত কেন?যারা সমাজকে নিয়ে খেলছে তারা কারা?কোন সমাজের বাইরে তাদের বাস?একবার ভাবুন সমাজের দোষ দিয়ে মানুষের অবহেলাই তাদের শক্তি৷আপনার সাথে বাস করে আপনাকে জিম্মি করেই তারা সমাজে অপরাধ করে৷আপনার অবহেলার সমাজে সুযোগ পেয়ে আপনার সন্তানতে অপহরন খুন করে৷আপনি পরিশ্রম করে ভাল থাকার যে স্বপ্ন নিয়ে বাচতে চান সেখানে সমাজটাও গড়তে আপনাকেই ভাবতে হবে৷আপনাকেই সুন্দর সুশীল ও ভদ্র সমাজ গঠনের চিন্তা করতে হবে৷
আপনার সন্তান যেন সুস্হ সুন্দর ভাবে পথ চলতে পারে৷আর যেন কোন মেয়ে ধর্ষিতা নাহয় কোন ছেলে মাদকাসক্ত সন্ত্রাস খুনি নাহয় সবকিছুর জন্য সমাজটাকেই আগে গড়তে হবে৷সমাজের দোষ না দিয়ে ময়লা আর্বজনার মত খারাপ মানুষগুলোকেই দমন করতে হবে৷আর দেরি নাকরে শুরু করেন সবাইকে নিয়ে৷সন্তানদেরকে নিরাপদ রাখতে একটা সমাজই যথেষ্ট৷সন্তানের জন্য বাড়ি গাড়ি টাকা পয়সা অর্জনের চেষ্টা যেমন প্রয়োজন সুষ্ঠ সমাজটাও প্রয়োজন৷তানাহলে আপনি যে সন্তানের ভবিষৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখেন সেও ভুলপথে চলে গিয়ে নিজের ও পরিবারের কলঙ্ক রচনার সুচনা করবে সমাজেরি জন্য।
এই কথাগুলো সবাই জানে। শিক্ষা কখনো মানুষকে খারাপ বানায় না। মানুষের সবথেকে বড় সমস্যা হল নিজের দোষ অন্যর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া।
শিক্ষা কোন ছেলের হাতে পিস্তল দেয়নি। যে বাবা মা সন্তান স্কুলে পাঠিয়ে খবর নেয়নি ছেলেটা বাহিরে বের হয়ে কি করছে কোথায় যাচ্ছে সে ছেলেগুলোই সমাজের জন্য আতঙ্ক হয়ে উঠেছে।
যে বাবা মা খোজ নিয়ে দেখেনা একটা কুমারি মেয়ে সংসারে কিভাবে আর্থিক যোগান দিচ্ছে।
সেই মেয়েটাই একদিন সবকিছু বিসর্জন দিয়ে পতিতা তৈরি হচ্ছে।
সবাই আপনারা জানেন
আমি বলব যতদিন মানুষ নিজের মূল্যবোধ দায়িত্ব কর্তব্য, সম্পর্কে না শোধরাবে ততদিন প্রজন্মের পর প্রজন্ম খারাপ হবে।
যে পিতা সন্তান জন্ম দিয়ে মনে করে ভাল ভাল খাবার মুখে তুলে সুন্দর সুন্দর আধুনিক পোশাক দিয়ে ভাবে এটাই বুঝি সন্তানের প্রতি দায়িত্ব।
যে মা সন্তান গর্ভে নিয়ে লালন পালনের সময় ভাল মন্দ না বুঝে সন্তানের চাহিদা মিটিয়ে দিচ্ছে। মা অবশ্য জানে সন্তান কখন কোথায় কোন খারা দিকে চলছে।
আমি বলব প্রতিটা সন্তান যা কিছু করে সবি তার পরিবার জানে স্কুল কলেজ নয়।
আজ আমাদের প্রজন্মকে ভাল পথে আনতে হলে কোন প্রতিষ্ঠান দোষারোপ করে নয় পরিবারকে শোধরাতে হবে। পরিবারকে বুজতে হবে। যে পরিবারের সুখ শান্তির জন্য হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করলেন সে পরিবারের সদস্যদের ভাল মন্দ খোজ না রাখার জন্য আজ এ অবস্হা।
পাকশাইল আইডিয়াল হাই স্কুল
বড়লেখা, মৌলভীবাজার।
“গুনগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে আমাদের সামগ্রিক প্রয়াস। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটাল শিক্ষা সবার আগে। -------------------বর্ণমালা”
মোবাঃ ০১৭১৫-৮৫৯৮২১
ই-মেইল: hmanwar671@gmail.com
ওয়েব: www.pakshailihs.edu.bd